তাজা খবর

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে ২০২৪ : বিস্তারিত গাইড

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে

পাসপোর্ট করতে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ, ছবি এবং আবেদন ফরম প্রয়োজন। সাধারণ পাসপোর্টের জন্য প্রায় ৩,৪৫০ টাকা লাগে।

পাসপোর্ট হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি যা আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য অপরিহার্য। এটি ব্যক্তি পরিচয় এবং জাতীয়তার প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। পাসপোর্ট তৈরির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও তথ্য প্রদান করতে হয়। এর মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ, ছবি এবং পূর্ণাঙ্গ আবেদন ফরম অন্তর্ভুক্ত। পাসপোর্ট প্রক্রিয়া সহজ ও সাশ্রয়ী রাখতে বাংলাদেশে নির্ধারিত ফি রয়েছে। সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ৩,৪৫০ টাকা এবং জরুরি পাসপোর্টের জন্য ৬,৯০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য নির্ধারিত পাসপোর্ট অফিসে আবেদন জমা দিতে হয়। পাসপোর্ট পাওয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের দরজা খুলে যায়।

পাসপোর্টের প্রকারভেদ

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাসপোর্টের প্রকারভেদও জানা দরকার, কারণ বিভিন্ন ধরনের পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও ফি ভিন্ন হতে পারে। মূলত, বাংলাদেশে দুই ধরনের পাসপোর্ট থাকে – সাধারণ পাসপোর্ট ও ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট।

সাধারণ পাসপোর্ট

সাধারণ পাসপোর্ট সাধারণত বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য প্রদান করা হয়। এটি পাসপোর্টধারীকে বৈধ ভ্রমণ অনুমতি দেয়। সাধারণ পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হলো:

  • আবেদন ফর্ম: নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে।
  • ন্যাশনাল আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে।
  • ছবি: নির্দিষ্ট মাপের ছবি (পাসপোর্ট সাইজ) জমা দিতে হবে।
  • ফি: সাধারণ পাসপোর্টের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরির ফি থাকতে পারে।

নিচে সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ফি সম্পর্কিত তথ্য একটি টেবিলে দেওয়া হলো:

ক্যাটাগরিফি
নরমাল প্রসেসিং৩,৪৫০ টাকা
এক্সপ্রেস প্রসেসিং৬,৯০০ টাকা

এছাড়া, পাসপোর্ট রিনিউ করার সময়ও একই ধরনের ডকুমেন্ট ও ফি প্রয়োজন হতে পারে।

ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট

ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট শুধুমাত্র উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারবর্গের জন্য সংরক্ষিত। ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট এর জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্তাবলী পূরণ করতে হয়:

  • সরকারি পদ: আবেদনকারীর উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হতে হবে।
  • সরকারি পরিচয়পত্র: সরকারি পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে।
  • ছবি: নির্দিষ্ট মাপের ছবি (পাসপোর্ট সাইজ) জমা দিতে হবে।
  • ফি: ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্টের জন্য সাধারণত কোন ফি নেই।

নিচে ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য একটি টেবিলে দেওয়া হলো:

প্রয়োজনীয় শর্তবিবরণ
সরকারি পদউচ্চপদস্থ কর্মকর্তা
সরকারি পরিচয়পত্রপ্রয়োজন
ফিনাই

ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্টের মেয়াদ সাধারণত পাঁচ বছর হয়। প্রয়োজনে মেয়াদ বৃদ্ধি করা যায়।

আবেদন প্রক্রিয়া

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে তা জানার জন্য অনেকেই আগ্রহী। পাসপোর্ট পেতে কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য পড়ুন।

অনলাইন আবেদন

অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং সুবিধাজনক। আপনি ঘরে বসেই আবেদন করতে পারেন। প্রথমেই https://www.epassport.gov.bd/ ওয়েবসাইটে যান। সেখানে আপনি একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।

অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

  • লগইন করুন আপনার অ্যাকাউন্টে।
  • নতুন আবেদন ফর্ম পূরণ করুন।
  • ব্যক্তিগত তথ্য, পিতামাতার তথ্য, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা লিখুন।
  • আবেদনের ফি প্রদান করুন।
  • ফি প্রদান করার পরে, পেমেন্ট কনফার্মেশন পেজটি প্রিন্ট করুন।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন।
  • পাসপোর্ট অফিসে সাক্ষাৎকারের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করুন।

অনলাইনে আবেদন করার সময়, আবেদনকারীকে তার নিজস্ব ছবি ও স্বাক্ষর আপলোড করতে হবে।

নিম্নে অনলাইনে আবেদন ফি-এর তালিকা দেওয়া হলো:

পাসপোর্ট প্রকারনিয়মিত (Regular)জরুরী (Urgent)
ePassport (48 পৃষ্ঠা)৳ ৩,৪৫০৳ ৬,৯০০
ePassport (৬৪ পৃষ্ঠা)৳ ৪,০০০৳ ৮,০০০

অফলাইন আবেদন

যারা অনলাইনে আবেদন করতে ইচ্ছুক নন, তারা অফলাইনে আবেদন করতে পারেন। প্রথমে নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে যান। সেখানে একটি আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করুন।

অফলাইনে আবেদন করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

  1. আবেদন ফর্ম পূরণ করুন।
  2. ফর্মের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করুন।
  3. ফি প্রদান করুন এবং পেমেন্ট রিসিট সংগ্রহ করুন।
  4. ফর্ম ও কাগজপত্র জমা দিন পাসপোর্ট অফিসে।
  5. সাক্ষাৎকারের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করুন।

অফলাইনে আবেদন করার সময়, আবেদনকারীকে তার নিজস্ব ছবি ও স্বাক্ষর সংযুক্ত করতে হবে।

অফলাইনে আবেদন ফি-এর তালিকা নিম্নরূপ:

পাসপোর্ট প্রকারনিয়মিত (Regular)জরুরী (Urgent)
ePassport (48 পৃষ্ঠা)৳ ৩,৪৫০৳ ৬,৯০০
ePassport (৬৪ পৃষ্ঠা)৳ ৪,০০০৳ ৮,০০০

প্রয়োজনীয় নথি

পাসপোর্ট করতে কী কী লাগে এবং কত টাকা লাগে তা জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় নথি সঠিকভাবে প্রস্তুত করা খুবই জরুরি। এই প্রয়োজনীয় নথিগুলো ঠিকমতো প্রস্তুত না থাকলে আপনার পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে পারে। নিচে প্রয়োজনীয় নথি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হলো।

পরিচয়পত্র

পরিচয়পত্র পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার পরিচয়পত্রে থাকা তথ্য সঠিক এবং আপডেটেড হওয়া উচিত। নিচে পরিচয়পত্র হিসেবে গ্রহণযোগ্য কিছু ডকুমেন্টসের তালিকা দেওয়া হলো:

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
  • জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • SSC/HSC সার্টিফিকেট (শিক্ষার্থীদের জন্য)
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • অফিসিয়াল আইডি কার্ড (সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য)

আপনার পরিচয়পত্রে থাকা তথ্যের সাথে আবেদন ফর্মে থাকা তথ্য অবশ্যই মিলে যেতে হবে। অন্যথায় আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে।

ছবি

পাসপোর্টের জন্য সঠিক মাপের ছবি প্রয়োজন। ছবি তোলার সময় কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে:

  1. ছবির মাপ: ৫২x৫২ মিলিমিটার
  2. ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা
  3. চোখ খোলা এবং সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকানো
  4. সাধারণ পোশাক পরিধান করা
  5. মাথার চুল পুরোপুরি দেখা যাবে
  6. ছবিতে কোনো ছায়া বা আলোর ভিন্নতা থাকবে না

ছবির উপর ভিত্তি করে পাসপোর্ট তৈরি হয়, তাই ছবি অবশ্যই পরিষ্কার এবং মানসম্পন্ন হতে হবে।

ই-পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশাবলী

আপনি কি জানেন ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে? ই-পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশাবলী জানলে কাজটি সহজ হয়ে যায়। এই নির্দেশাবলী অনুসরণ করলে পাসপোর্ট পাওয়ার প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হয়।

ই-পাসপোর্ট ফরম পূরণ করতে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। নিচে বিস্তারিত ভাবে ধাপগুলো বর্ণনা করা হলো:

ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান

  • নাম: পুরো নাম লিখুন, যা আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রে আছে।
  • জন্ম তারিখ: সঠিক জন্ম তারিখ লিখুন।
  • পিতার নাম: পিতার পুরো নাম প্রদান করুন।
  • মাতার নাম: মাতার পুরো নাম লিখুন।

যোগাযোগের ঠিকানা

  • স্থায়ী ঠিকানা: স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করুন।
  • বর্তমান ঠিকানা: বর্তমান ঠিকানা লিখুন।
  • মোবাইল নম্বর: কার্যকর মোবাইল নম্বর প্রদান করুন।
  • ইমেইল ঠিকানা: সঠিক ইমেইল ঠিকানা দিন।

চাকুরির তথ্য

  • চাকুরির ধরন: সরকারি বা বেসরকারি চাকুরি ধরন উল্লেখ করুন।
  • পদবী: বর্তমানে কোন পদে কর্মরত তা লিখুন।
  • কাজের স্থান: কাজের স্থানের ঠিকানা প্রদান করুন।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড

  • জাতীয় পরিচয়পত্র: জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি আপলোড করুন।
  • জন্ম সনদ: জন্ম সনদের কপি আপলোড করুন।
  • পাসপোর্ট সাইজ ছবি: নির্দিষ্ট মাপের পাসপোর্ট সাইজ ছবি আপলোড করুন।

ফি প্রদান

ফি প্রদান করতে বিভিন্ন পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। নিচে ফি-এর বিবরণ দেওয়া হল:

পাসপোর্ট ধরনফি (BDT)
নিয়মিত৩,৪৫০
জরুরি৬,৯০০

ফি কাঠামো

পাসপোর্ট করতে গেলে অনেকেই প্রশ্ন করেন কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে। পাসপোর্ট ফি কাঠামো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা খুবই জরুরি। ফি কাঠামো বিভিন্ন ধরণের পাসপোর্টের জন্য আলাদা হতে পারে। এখানে নতুন পাসপোর্ট এবং নবীকরণ পাসপোর্টের ফি কাঠামো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

নতুন পাসপোর্ট

নতুন পাসপোর্ট করতে হলে প্রথমে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। নতুন পাসপোর্টের জন্য ফি কাঠামো নিম্নরূপ:

  • স্বাভাবিক পাসপোর্ট: ৩,৪৫০ টাকা (ডেলিভারি সময়: ২১ কার্যদিবস)
  • জরুরি পাসপোর্ট: ৬,৯০০ টাকা (ডেলিভারি সময়: ১০ কার্যদিবস)
  • অতি জরুরি পাসপোর্ট: ১৩,৮০০ টাকা (ডেলিভারি সময়: ৪ কার্যদিবস)

নতুন পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  1. জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
  2. জন্ম সনদের ফটোকপি
  3. বাসার ঠিকানার প্রমাণ (বিদ্যুৎ বিল বা গ্যাস বিল)
  4. পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৪ কপি)
পাসপোর্ট ধরণফি (টাকা)ডেলিভারি সময়
স্বাভাবিক পাসপোর্ট৩,৪৫০২১ কার্যদিবস
জরুরি পাসপোর্ট৬,৯০০১০ কার্যদিবস
অতি জরুরি পাসপোর্ট১৩,৮০০৪ কার্যদিবস

নবীকরণ

পাসপোর্ট নবীকরণ করতে হলে পুরাতন পাসপোর্ট এবং কিছু অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিতে হয়। পাসপোর্ট নবীকরণের জন্য ফি কাঠামো নিম্নরূপ:

  • স্বাভাবিক নবীকরণ: ৩,৪৫০ টাকা (ডেলিভারি সময়: ২১ কার্যদিবস)
  • জরুরি নবীকরণ: ৬,৯০০ টাকা (ডেলিভারি সময়: ১০ কার্যদিবস)
  • অতি জরুরি নবীকরণ: ১৩,৮০০ টাকা (ডেলিভারি সময়: ৪ কার্যদিবস)

নবীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  1. পুরাতন পাসপোর্ট
  2. জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
  3. বাসার ঠিকানার প্রমাণ (বিদ্যুৎ বিল বা গ্যাস বিল)
  4. পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৪ কপি)
নবীকরণ ধরণফি (টাকা)ডেলিভারি সময়
স্বাভাবিক নবীকরণ৩,৪৫০২১ কার্যদিবস
জরুরি নবীকরণ৬,৯০০১০ কার্যদিবস
অতি জরুরি নবীকরণ১৩,৮০০৪ কার্যদিবস
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে: বিস্তারিত গাইড

আবেদন জমা দেওয়ার স্থান

পাসপোর্ট করতে গেলে অনেক তথ্য জানা দরকার। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আবেদন জমা দেওয়ার স্থান। বাংলাদেশে পাসপোর্ট করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় আবেদন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। নিচে এই স্থানগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

পাসপোর্ট অফিস

বাংলাদেশে পাসপোর্ট করতে গেলে প্রথমেই লোকাল পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। এখানে আবেদন জমা দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য কাজও করা হয়। পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার আগে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে:

  • ফর্ম পূরণ: পাসপোর্ট ফর্ম সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
  • ডকুমেন্ট: জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ইত্যাদি ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।
  • ছবি: নির্ধারিত সাইজের ছবি জমা দিতে হবে।
  • ফি: নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে।

পাসপোর্ট অফিসের ঠিকানা ও যোগাযোগের তথ্য:

অফিসঠিকানাফোন
ঢাকা পাসপোর্ট অফিসআগারগাঁও, ঢাকা০২-৮১২৩৪৫৬
চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিসশহীদ মিনার রোড, চট্টগ্রাম০৩১-৬৫৪৩২১

বিভিন্ন কেন্দ্রে

পাসপোর্ট করার জন্য বিভিন্ন কেন্দ্রে আবেদন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এই কেন্দ্রগুলোতে লোকজন সহজেই আবেদন জমা দিতে পারে। বিভিন্ন কেন্দ্রে আবেদন জমা দেওয়ার সুবিধা:

  1. উপজেলা পরিষদ: প্রত্যেক উপজেলার পরিষদে পাসপোর্ট আবেদন জমা দেওয়া যায়।
  2. ইউনিয়ন পরিষদ: ইউনিয়ন পরিষদেও পাসপোর্ট আবেদন জমা দেওয়া যায়।
  3. অনলাইন সেবা কেন্দ্র: অনলাইন সেবা কেন্দ্র থেকে আবেদন করা যায়।

বিভিন্ন কেন্দ্রে আবেদন জমা দেওয়ার সুবিধা হলো:

  • আবেদন জমা দেওয়ার সময় কম লাগে।
  • লোকাল পর্যায়ে সহজে সেবা পাওয়া যায়।
  • অনলাইনে আবেদন করলে ঘরে বসেই কাজ করা যায়।

অনলাইন সেবা কেন্দ্রের ঠিকানা ও যোগাযোগের তথ্য:

কেন্দ্রঠিকানাফোন
ঢাকা অনলাইন সেবা কেন্দ্রগুলশান, ঢাকা০২-৯৮৭৬৫৪৩
রাজশাহী অনলাইন সেবা কেন্দ্রসাহেব বাজার, রাজশাহী০৭২১-৭৬৫৪৩২

প্রসেসিং সময়

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে তা জানার জন্য অনেকেই আগ্রহী। পাসপোর্টের প্রসেসিং সময় সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। প্রসেসিং সময় নির্ভর করে সাধারণ প্রক্রিয়া এবং অগ্রিম প্রক্রিয়ার উপর। এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করব পাসপোর্টের প্রসেসিং সময় সম্পর্কে।

সাধারণ প্রক্রিয়া

সাধারণ প্রক্রিয়ায় পাসপোর্ট করতে কিছু সময় লাগে। সাধারণত, এই প্রক্রিয়ায় ১৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে।

নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়:

  • অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
  • আবেদন ফরম প্রিন্ট করে স্বাক্ষর করতে হবে।
  • প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট ছবি জমা দিতে হবে।
  • আবেদন ফি জমা দিতে হবে।

নিচে একটি টেবিলে সাধারণ প্রক্রিয়ার ফি এবং সময়ের বিবরণ দেওয়া হল:

পাসপোর্ট টাইপফি (টাকা)সময়
নতুন পাসপোর্ট৩,৪৫০১৫ থেকে ৩০ দিন
পুনঃনবায়ন৩,৪৫০১৫ থেকে ৩০ দিন

সাধারণ প্রক্রিয়াতে পাসপোর্ট করতে সময় একটু বেশি লাগে। তাই আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা আগে থেকেই করে রাখা ভালো।

অগ্রিম প্রক্রিয়া

অগ্রিম প্রক্রিয়ায় পাসপোর্ট করতে কম সময় লাগে। সাধারণত, এই প্রক্রিয়ায় ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে।

নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়:

  • অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
  • আবেদন ফরম প্রিন্ট করে স্বাক্ষর করতে হবে।
  • প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট ছবি জমা দিতে হবে।
  • অগ্রিম ফি জমা দিতে হবে।

নিচে একটি টেবিলে অগ্রিম প্রক্রিয়ার ফি এবং সময়ের বিবরণ দেওয়া হল:

পাসপোর্ট টাইপফি (টাকা)সময়
নতুন পাসপোর্ট৬,৯০০৭ থেকে ১০ দিন
পুনঃনবায়ন৬,৯০০৭ থেকে ১০ দিন

অগ্রিম প্রক্রিয়াতে পাসপোর্ট করতে সময় কম লাগে। জরুরি প্রয়োজন হলে এই প্রক্রিয়া বেছে নেওয়া যেতে পারে।

বিশেষ বিবেচনা

পাসপোর্ট করতে হলে বেশ কিছু কাগজপত্র এবং ফি প্রয়োজন হয়। আবেদনকারীদের জন্য কিছু বিশেষ বিবেচনা রয়েছে যা প্রক্রিয়াটিকে আরও সহজ করে তোলে। এই বিবেচনাগুলি নারী, শিশু এবং বয়স্কদের জন্য ভিন্ন হতে পারে। এখন আমরা এই বিশেষ বিবেচনাগুলি নিয়ে আলোচনা করব।

নারী ও শিশুদের জন্য

নারী ও শিশুদের পাসপোর্ট করতে কিছু বিশেষ সুবিধা এবং নিয়ম রয়েছে। নারীদের জন্য বিবাহিত হলে স্বামীর নাম সংযুক্ত করার জন্য ম্যারেজ সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ অবশ্যই প্রয়োজন

নারী এবং শিশুদের পাসপোর্ট করতে যা যা লাগে:

  • আবেদনপত্র (সম্পূর্ণ পূরণকৃত)
  • ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি
  • সংশ্লিষ্ট ফি জমা দেওয়ার রশিদ
  • বৈধ ছবি (৪ কপি)
  • জন্ম নিবন্ধন সনদ (শিশুদের জন্য)
  • ম্যারেজ সার্টিফিকেট (বিবাহিত নারীদের জন্য)

নিচের টেবিলে নারী ও শিশুদের পাসপোর্ট ফি তালিকা দেওয়া হলো:

প্রকারসাধারণ ফিজরুরী ফি
নারী৩,৪৫০ টাকা৬,৯০০ টাকা
শিশু৩,৪৫০ টাকা৬,৯০০ টাকা

বয়স্কদের জন্য

বয়স্কদের জন্য পাসপোর্ট করতে বিশেষ কিছু বিবেচনা রয়েছে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে বয়সের প্রমাণের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড প্রয়োজন হয়।

বয়স্কদের পাসপোর্ট করতে যা যা লাগে:

  • আবেদনপত্র (সম্পূর্ণ পূরণকৃত)
  • ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি
  • জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • সংশ্লিষ্ট ফি জমা দেওয়ার রশিদ
  • বৈধ ছবি (৪ কপি)

বয়স্কদের জন্য পাসপোর্ট ফি তালিকা নিচে দেওয়া হলো:

প্রকারসাধারণ ফিজরুরী ফি
বয়স্ক৩,৪৫০ টাকা৬,৯০০ টাকা

Frequently Asked Questions

পাসপোর্ট করতে কি কি ডকুমেন্ট দরকার?

পাসপোর্ট করতে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ, আবেদন ফরম, এবং দুই কপি ছবি দরকার। এছাড়া, পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি প্রয়োজন হতে পারে।

পাসপোর্ট ফি কত?

পাসপোর্টের ফি সাধারণত ৩,৪৫০ টাকা থেকে ৬,৯০০ টাকা পর্যন্ত হয়। ফি নির্ভর করে পাসপোর্টের ধরণ ও মেয়াদের উপর।

কতদিনে পাসপোর্ট পাওয়া যায়?

সাধারণত পাসপোর্ট পেতে ২১ দিন থেকে ১ মাস সময় লাগে। জরুরি পাসপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে পাওয়া যায়।

পাসপোর্টের জন্য ছবি কেমন হওয়া উচিত?

পাসপোর্টের জন্য ৩. ৫ সেমি x ৪. ৫ সেমি সাইজের ছবি প্রয়োজন। ছবিতে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে।

Conclusion

Understanding the requirements and costs of obtaining a passport is crucial. Ensure all documents are in order and meet the fee requirements. This will streamline the process and save time. Stay informed about any updates or changes to the process.

A well-prepared application makes passport acquisition hassle-free.

Leave a Reply